Share
Facebook
Twitter
LinkedIn
Whatsapp
Instagram
Messenger

গুগল পেজ র‌্যাংক


ওয়েবে একটা পেজ কত গুরত্বপূর্ন এবং এটার যথাযথ কর্তৃপক্ষ আছে কিনা, এইয় বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে গুগল পেজ র‌্যাংক দেয়। সংক্ষেপে পেজ র‌্যাংক হচ্ছে একটা পেজের জন্য ভোট, যে ভোট দিবে ওয়েবে থাকা অন্য পেজগুলি।


পেজ র‌্যাংক

পেজর‌্যাংক প্রকাশের জন্য ০ থেকে ১০ পর্যন্ত সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।
কোন সাইটের (পেজের) পেজর‌্যাংক ১০ হলে বুঝতে হবে সেই সাইটকে গুগল সর্বোচ্চ গুরত্ব দিচ্ছে।
পেজর‌্যাংক গুগল ৩/৪ মাস পরপর বিবেচনা করে অর্থ্যাৎ ৩/৪ মাস পরপর একটা সাইটের পেজর‌্যাংক পরিবর্তন হয়।

বিভিন্ন সাইট আছে যেখানে যেকোন সাইটের URL টাইপ করে এন্টার দিলেই পেজর‌্যাংক দেখাবে যেমন -
http://www.prchecker.info/check_page_rank.php,
এছাড়া www.toolbar.google.com থেকে গুগল টুলবার ডাউনলোড করে ব্রাউজারে এনাবল রাখতে পারেন। গুগল টুলবারে একটা সাদা খন্ড আছে যেখানে সবুজ কালি এবং সংখ্যা দিয়ে পেজর‌্যাংক দেখায়।


গুগল যা বিবেচনা করে

পেজ র‌্যাংক নিরধারনে গুগল যে সব বিষয় বিবেচনা করে তার কিছু নিচে দেয়া হল -


পেজর‌্যাংক খুব গুরত্বপূর্ন নয়

তবে পেজর‌্যাংক খুব গুরত্বপূর্ন কোন বিষয় নয়। পেজর‌্যাংকের কারনে সার্চ ইন্জিন রেজাল্ট পেজে (SERP) কোন প্রভাব পরে না। পেজর‌্যাংক ০ এমন সাইটও গুগলের প্রথম পেজে থাকতে পারে অপরদিকে বেশি পেজর‌্যাংকওয়ালা কোন সাইট গুগলের প্রথম পেজে নাও থাকতে পারে যদিও ওয়েবসাইটদুটি একই ধরনের এবং একই কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করা হয়েছে। তাই আপনার সাইটের পেজর‌্যাংক না পেলে চিন্তিত হবার কোন কারন নেই। এমন অনেক সাইট আছে যাদের পেজর‌্যাংক অনেক ৩,৪,৫ অথচ এই সাইটগুলি দেখলে আপনি হাসবেন কারন ভিতরে কিছুই নেই শুধু অনেক সাইটে এই সাইটের লিংক আছে।

পেজর‌্যাংক নিয়ে গুগলকে মেইল করা হয়েছে, তাদের ফোরামে লেখালেখিও অনেক হয়েছে। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এমনকি ২০০৯ সালে গুগল ওয়েবমাস্টার টুল থেকে পেজর‌্যাংক বিষয়টি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া গুগলের পেজর‌্যাংক এর সমীকরনটিতেও যেসব প্যারামিটার আছে তা আসলে ইনকামিং লিংকের উপর ভিত্তি করেই। অন্য সাইটে আপনার সাইটের লিংক থাকলে সেটাই ইনকামিং লিংক।


সাবধান

আর একটা কথা আপনার সাইট যদি বেশি পেজর‌্যাংকওয়ালা হয় আর আপনি যদি এর থেকে কম পেজর‌্যাকওয়ালা সাইটের লিংক আপনার সাইটে দেন তাহলে আপনার পেজ র‌্যাংক কমবে বা সেই সাইটটির সাথে ভাগাভাগি হবে। অর্থ্যাৎ আউটবাউন্ড লিংক দেয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে।