টিসিপি/আইপি পরিকল্পনাকারীরা ইন্টারনেট প্রটোকল ঠিকানাকে ৩২ বিটের নম্বর দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন এবং এই পদ্বতিটি ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন ৪ নামে পরিচিত যা এখনও ব্যাবহৃত হচ্ছে।
তবে ইন্টারনেটের ব্যাবহার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় এবং অব্যাবহৃত অ্যাড্রেস দিন দিন কমতে থাকায় ১৯৯৫
সনে নতুন একটি অ্যাড্রেসিং পদ্বতি (আইপিভি৬) চালু করা হয় যেখানে প্রতিটি অ্যাড্রেসকে প্রকাশ করার জন্য
১২৮ বিট নম্বর ব্যাবহৃত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে আরএফসি ২৪৬০ এ তা মানোপযোগী করা হয়।
ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস গুলোকে স্টোর করার জন্য বাইনারী নম্বর পদ্বতি ব্যাবহার করা হলেও এটি
প্রকাশ করার জন্য সাধারণত মানুষের পঠনযোগ্য সঙ্কেতে ব্যবহার করা হয়, উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় –
180.210.130.13 (আইপিভি৪) এবং
2001:db8:02:1234:0:567:16:1 (আইপিভি৬) ।
বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস স্পেস বরাদ্দের কাজটি পরিচালনা করে থাকে internet Assigned
Numbers Authority(ICNA) এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালনা করার জন্য তারা ৫টি আঞ্চলিক ইন্টারনেট
রেজিষ্টি (RIRs) নিয়োগ করেছে যারা স্থানীয় ইন্টারনেট রেজিষ্টিকে (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) এবং অন্যান্য
প্রতিষ্ঠানকে আইপি অ্যাড্রেস ব্লক বরাদ্দ করে থাকে ।
ইন্টারনেট প্রটোকলের দুটি ভার্সন ব্যবহৃত হয় -
১) আইপি ভার্সন ৪
এবং ২) আইপি ভার্সন ৬।
ভার্সন দুটি পৃথক পৃথক ভাবে আইপি অ্যাড্রেস প্রকাশ করে। তবে আইপি ভার্সন ৪ ব্যাপক প্রচলনের কারণে সাধারণত আইপি অ্যাড্রেস বলতে ভার্সন ৪ কেই ধরে নেয়া হয়।
অনলাইন জগতে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে বা Hide রাখার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যেমন -
১) Proxy (প্রক্সি) ব্যবহার করা,
২) Virtual Private Network (VPN) ব্যবহার করা,
৩) IP Hiding Software ব্যবহার করা।