সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেসন বা এসইও সম্পর্কে জানতে হলে এর বিভিন্ন বিষয় বা Term সম্পর্কে জানতে হবে। এসইও এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টার্মগুলো হল - ব্যাকলিংক, আউটবাউন্ড লিংক, ক্লকিং ইত্যাদি। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টার্মের ব্যাখ্যা দেয়া হল।
অন্য একটা সাইটে আপনার সাইটের লিংক থাকলে এটা আপনার সাইটের জন্য ব্যাকলিংক হতে পারে এই লিংক আপনার সাইটের হোমপেজ বা অন্য কোন পেজ এর লিংক। ব্যাকলিংক কে ইনকামিং লিংক বা ইনবাউন্ড লিংকও বলে।
আউটবাউন্ড লিংক হচ্ছে ব্যাকলিংকের বিপরীত অর্থ্যাৎ অন্য সাইটের লিংক যদি আপনার সাইটে থাকে। Outbound link কে Out going link ও বলে।
সার্চ ইঞ্জিনের গাইডলাইন বা নীতিমালা ভঙ্গ না করে যদি SEO করেন তাহলে এ ধরনের অপটিমাইজেশনকে বলে
হোয়াইট হ্যাট এসইও। এসব গাইডলাইন বা নীতিমালার মধ্যে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন নীতিটি হচ্ছে ওয়েবসাইট মানুষের
জন্য তৈরী করুন যা উপকারী সার্চ ইন্জিনের জন্য নয়।
অন্যান্য নীতিমালার মধ্যে আছে ব্যাকলিংক লিংক পপুলারিটি, কিওয়ার্ড গবেষনা, লিংক বিল্ডিং ইত্যাদি। হোয়াইট হ্যাট
এসইও (White hat SEO) কে এথিকাল এসই (Ethical SEO) ও বলা যায়।
এটা হোয়াইট হ্যাটের বিপরীত অর্থ্যাৎ সার্চ ইঞ্জিনগুলির দেয়া নিয়মা-কানুন না মেনে যে অপটিমাইজ করা হয়। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও টেকনিকের মধ্যে আছে কিওয়ার্ড স্টাফিং, ক্লকিং, অদৃশ্য টেক্সক্ট ইত্যাদি। একে আনএথিকাল (Unethical SEO) এসই ও বলা যায়।
এটা ব্ল্যাক হ্যাট এসইও'র অংশ। ইউজার যেসব কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিতে পারে এধরনের কিওয়ার্ডগুলি দিয়ে পেজ ভর্তি
করা অর্থ্যাৎ কিওয়ার্ড ওভারলোডিং। অনেকসময় ইনপুট ট্যাগে hidden এট্রিবিউট দিয়ে এধরনের কিওয়ার্ড ঢুকিয়ে
দেয় ফলে ইউজারের কাছে এসব টেক্সট অদৃশ্য থাকে আর সার্চ ইন্জিনকে এসব পড়তে হয়। আবার পেজের রং যা আছে
টেক্সটের রংও তাই করে দেয় ফলে ইউজার দেখতে পারেনা কিন্তু সার্চ ইন্জিন দেখে। কিওয়ার্ড স্টাফিংকে অনেক সময়
Keyword Loading বলা হয়।
এসব করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ সার্চ ইন্জিন টের পেলে ঐ সাইটকে কিক আউট করে দেবে।
এটা হচ্ছে একটা সাইটের মান কিরকম তা নির্নয়ের জন্য। এটা কোয়ালিটি ইনবাউন্ড লিংকের (ব্যাকলিংক) উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। সার্চ ইঞ্জিনগুলি লিংক পপুলারিটির উপর ভিত্তি করে তাদের এলগরিদম তৈরী করে থাকে যে একটা সাইট সার্চ ইন্জিন রেজাল্ট পেজে (SERP) কোথায় থাকবে।
কোয়ালিটি ব্যাকলিংক আর শুধু ব্যাকলিংকের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক এমন সাইটে থাকবে যেটা আপনার সাইটের মতই। যেমন w3schools এ websschool.com এর লিংক থাকলে এটা কোয়ালিটি ব্যাকলিংক আর যদি ফেসবুকে থাকে তাহলে এটা হবে শুধু ব্যাকলিংক।
লিংক ফার্ম হচ্ছে বেশ কিছু ওয়েবসাইট খুলে প্রতিটি সাইটের লিংক প্রতিটি সাইটে দেয়া। ফলে প্রতিটি সাইটের ব্যাকলিংক
বৃদ্ধি পেল। এসব ধরা পরলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটকে স্পামডেক্সিং এ গগনা করবে।
স্পামেডেক্সিং হচ্ছে সার্চ ইন্জিন আপনার সাইটকে এমনভাবে চিহ্নিত করবে যেন আপনি তাদের দেয়া গাইডলাইন ভঙ্গ
করেছেন। আপনার সাইটকে যদি সার্চ ইন্জিন স্পামডেক্সিং করে ফেলে তাহলে আপনার পুরো SEO ব্যর্থতায় পর্যবশিত
হবে। বিভিন্ন কারনে আপনার সাইটকে স্পামডেক্সিং করতে পারে যেমন লিংক ফার্ম করলে, কিওয়ার্ড স্টাফিং করলে,
ডুরওয়ে (Doorway pages) পেজ বানালে, ক্লকিং অর্থাৎ সোজা কথা ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করলে।
এটা হচ্ছে এমন পেজ বানানো যেখানে খুব অল্প কয়েক লাইন থাকে আর এসব লাইনে শুধু কিওয়ার্ড থাকে ফলে সার্চ ইন্জিন প্রচুর কিওয়ার্ড খুজে পায়। এতে কিওয়ার্ড বাড়ে কিন্তু ইউজারদের জন্য তেমন কোন তথ্য থাকে না। এই পেজে গেলে অন্য কোন পেজের লিংক থাকে বা রিডাইরেক্ট করে অন্য পেজে নিয়ে যায়। এটাকে এন্ট্রি পেজ, পোর্টাল পেজ, জাম্প পেজ, ব্রিজ পেজ ইত্যাদি বলা হয়ে থাকে।
এটা এমন একটা টেকনিক যেটা সার্চ ইন্জিনকে এক ধরনের কন্টেন্ট দেখায় আর ইউজারকে অন্যরকম কনটেন্ট দেখায়। এই পদ্ধতি তে যখন সার্ভারে কোন পেজের জন্য রিকোয়েস্ট যায় তখন আইপি এড্রেস বা ইউজার এজেন্ট দেখে বুঝে ফেলে এটা কোন সার্চ ইন্জিনের বট/ক্রাউলার/স্পাইডার/স্কুটার নাকি মানুষ। যখন দেখে স্পাইডার তখন এক ধরনের পেজ দেখায় আর মানুষ হলে আরেক ধরনের পেজ দেখায়।
এটা হচ্ছে আপনার সাইটেই এক পেজে অন্য পেজের লিংক। এটা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ন। যেমন আপনার সাইট এ যদি ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল থাকে তাহলে একপেজ থেকে তারপরের পেজে যাওয়ার জন্য আগের পেজে অ্যাংকর টেক্সট দিয়ে লিংক দিবেন। এটা আপনার সাইটের ব্যাকলিংক হিসেবে কাজ করবে। এতে Page rank বাড়ে। উইকিপিডিয়ার সাইটে দেখবেন প্রতি লাইনেই কতগুলি করে তাদেরই সাইটের লিংক থাকে।
কোন সাইট কত ভিজিট হচ্ছে এটা হচ্ছে সেই সাইটের ট্রাফিক। কোন সাইটের ট্রাফিক বাড়ছে অর্থ্যাৎ সেই সাইটের ভিজিটর বাড়ছে।